ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্র

ঢাকা শহরের যানজট ঠেলে প্রতিদিন অফিস যাতায়াতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন অধিকাংশ মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটিতে পরিবার নিয়ে কম দূরত্বের কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন সবাই। ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলো হতে পারে ক্লান্ত মানুষদের জন্য উপযুক্ত স্থান। যেখানে কম খরচে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সবাই। এ রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর চমৎকার পরিবেশে দূর হয়ে যায় ক্লান্তি এবং ফিরে আসে নতুন উদ্যোম। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেসব রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর নাম।

রিসোর্ট কী?

সুইমিংপুল, খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া এবং আরাম করার ব্যবস্থাসহ অবকাশ যাপনের সব সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এমন স্বয়ংসম্পূর্ণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ইংরেজিতে রিসোর্ট বলে।

কেন ভ্রমণ করা উচিৎ?

ভ্রমণ আমাদের মানসিক চাপ দূর করে, নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে, মেধার বিকাশ ঘটায়, উদার মানসিকতা তৈরি করে, স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মানুষকে সত্যিকার মানুষে পরিণত করে। এসব কারণে সব মানুষের ভ্রমণ করা উচিৎ।

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্র

ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে যে রিসোর্টের প্রতি এখন মানুষের প্রবল আগ্রহ, সেটা হলো ডেরা রিসোর্ট। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে গড়ে তোলা হয়েছে ৫ স্টার মানের এ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। এ রিসোর্টে রয়েছে সুইমিংপুল, মিনি চিড়িয়াখান, অর্গানিক থাই স্পা এবং হেলথ অ্যান্ড ফিটনেস সেন্টার। রয়েছে নৌকায় ভ্রমণের ব্যবস্থা। রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব ঘোড়া, আগত অতিথিরা চাইলে ঘোড়ার পিঠে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। বিশাল খোলা মাঠে সাইকেল চালানোর সুব্যবস্থা এবং শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে এ রিসোর্টে।

এ রিসোর্টের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এখানে রয়েছে কটেজের ভিন্নতা। এ রিসোর্টের রয়েছে হেরিটেজ, হাব,সুপারিয়র, প্রেসিডেন্ট , গলফ ভিউ, ভিআইপি এবং লেকসাইড কটেজ রয়েছে। য এ রিসোর্টের রয়েছে মিটিং ও কনফারেন্স রুম। এ রিসোর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল, ‘লাভ ব্রিজ’।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
ছুটি রিসোর্ট

ছুটি

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হল গাজীপুরের ছুটি রিসোর্ট। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী সুকুন্দি গ্রামে প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার ওপর এ রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে নৌভ্রমণের ব্যবস্থা,রেগুলার কটেজ, মাছ ধরার ব্যবস্থা, হার্বাল গার্ডেন, বিষমুক্ত দেশীয় ফল ও সবজি এবং ফুলের বাগান। বিরল প্রজাতির সংরক্ষিত বৃক্ষের বনে রয়েছে টানানো তাঁবু। বিশাল খেলার মাঠ,পিকনিক স্পট ও আধুনিক রেস্টুরেন্ট।

রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট

রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট

গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের শালবনে প্রায় ৮০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত দেশের অন্যতম এই রিসোর্ট। এখানে রয়েছে ২৬টি কটেজ এবং বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। রয়েছে লেক, সুইমিংপুল, ম্যাসেজ পার্লার ও ক্যাফেটেরিয়া। আগত অতিথিরা চাইলে এখানে মাছ ধরতে, সাইকেল চালাতে এবং বিভিন্ন ফার্ম ঘুরে দেখতে পারবেন। এ ইকো রিসোর্টে রয়েছে অবজারভেশন টাওয়ার। এ টাওয়ারে উঠে পুরো বন পর্যবেক্ষন করতে পারবেন যে কোনো অতিথি।

আনন্দ রিসোর্ট

আনন্দ রিসোর্ট

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ রিসোর্ট অবস্থিত। এ রিসোর্টে বিল থেকে মাছ ধরার ব্যবস্থা রয়েছে । রয়েছে কটেজ, খেলার নানা উপকরণ, সুইমিংপুল এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ। অর্থাৎ মানুষকে আনন্দ দেওয়ার যত উপকরণ রয়েছে সবগুলোই রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এ রিসোর্টে।

সোহাগপল্লী রিসোর্ট

সোহাগপল্লী

গাজীপুরের চন্দ্রা মোড় থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালামপুর গ্রামে ১১ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এ পল্লী। এখানে রয়েছে কৃত্রিমভাবে নির্মিত লেক, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, উন্নতমানের কটেজ, লেক , সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট ও ঝুলন্ত সাঁকো। বাচ্চাদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে সোহাগপল্লীতে।

মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট

মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মুন্সিগঞ্জে রয়েছে প্রসিদ্ধ বেশ কয়েকটি রিসোর্ট। এর অন্যতম হল মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট। গজারিয়ায় প্রায় ৩০ বিঘা জায়গার ওপর অবস্থিত এ রিসোর্ট। এখানে এসি/নন এসি কটেজ রয়েছে। রয়েছে চাইনিজ খাবার, বার বি কিউ, পিকনিক আয়োজন, মাছ ধরার এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা। রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। এ চিড়িয়াখানায় রয়েছে চিত্রা হরিণ, কালিম পাখি, বানর, লজ্জাবতী হনুমান, কোয়েল পাখি ও কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণী।

পদ্মা রিসোর্ট

পদ্মা রিসোর্ট

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ হল পদ্মা রিসোর্ট। মুন্সিগঞ্জে পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম ও অপরূপ সুন্দর এ রিসোর্ট। এ রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব ঘোড়া ও সুসজ্জিত রেস্টুরেন্ট। রয়েছে পদ্মা নদীতে ধরার ও নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। রিসোর্টের বাইরে রয়েছে বিচ চেয়ার। যে চেয়ারে হেলান দিয়ে উপভোগ করা যায় পদ্মা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য।

মাওয়া রিসোর্ট

মাওয়া রিসোর্ট

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে মাওয়া রিসোর্ট। এ রিসোর্টে রয়েছে সারি সারি নারকেল ও সুপারি গাছ। রয়েছে চমৎকার দীঘি। এ দীঘিতে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো যায়। রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, কাঠের সেতু এবং উন্নতমানের কটেজ।

শাহ মেরিন রিসোর্ট

শাহ মেরিন রিসোর্ট

ঢাকার নিকটবর্তী রিসোর্ট ও অবকাশ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মানিকগঞ্জের শাহ মেরিন রিসোর্টটি বেশ জনপ্রিয়। আমিনবাজার ব্রিজ থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে সিংগাইর উপজেলায় অবস্থিত শাহ মেরিন রিসোর্ট। ধলেশ্বরী নদীর কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে রিসোর্টটি। এ রিসোর্টের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে, এখানে আসলে ধলেশ্বরী নদীর অপরূপ সৌন্দর্য মনভরে উপভোগ করা যায়। ট্রলারে করে নদীর বুকে ঘুরে বেড়ানো যায়। রয়েছে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার ব্যবস্থা। সকালের নাস্তায় দেশি-বিদেশি খাবার, দুপুরে চাইনিজ এবং সন্ধ্যায় বার-বি-কিউয়ের আয়োজন।

অক্সিজেন রিসোর্ট

অক্সিজেন রিসোর্ট

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় অক্সিজেন রিসোর্টটি অবস্থিত। নামের সাথে এ রিসোর্টের কাজের মিল রয়েছে। সবুজ গাছপালা ও প্রাকৃতিক পরিবেশে এ রিসোর্টে এলে দূষণমুক্ত অক্সিজেন নিতে পারবেন যে কেউ। এ রিসোর্টে রয়েছে বিশোল খেলার মাঠ, কটেজ, শিশুদের খেলার ব্যবস্থা এবং ফল-ফুল গাছ।

সারসংক্ষেপ

ভ্রমণ মানুষকে আনন্দ দেয় এবং ভ্রমণ মানুষের জ্ঞান বাড়ায়। ভ্রমণ মানুষকে উদার মানসিকতার মানুষে পরিণত করে। ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ মানুষের সুখ-দুঃখসহ নানান অবস্থা নিজ চোখে দেখতে পারে এবং নিজ করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এজন্য সুযোগ পেলে সবার ভ্রমণ করা উচিৎ। আপনি যদি ঢাকার আশপাশে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে মানিকগঞ্জের ডেরা রিসোর্ট হতে পারে আপনার সেরা গন্তব্য।

রিসোর্ট বুকিং!
Make Great Use of Your Next Weekend Right Away

Book your favorite room or villa to explore the next best thing.

Arrow