facebook icon

কক্সবাজার ট্যুর প্ল্যান । কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন ও কী দেখবেন

কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত, আর তার সঙ্গে পাহাড়, ঝরনা, দ্বীপ ও মেরিন ড্রাইভ, সব মিলিয়ে এক গন্তব্যেই বহু রকম অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাই কক্সবাজার ট্যুর প্ল্যান করলে খুব কম সময়ে অনেক বৈচিত্র্যময় জায়গা দেখা সম্ভব হয়, যা বাংলাদেশে অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বিশেষ করে ৩ দিনের ট্যুরে হিমছড়ি, ইনানী, মেরিন ড্রাইভ ও মহেশখালীর মতো মূল স্পটগুলো আরাম করে ঘোরা যায়।

এই ব্লগে আমরা কোন মৌসুমে কক্সবাজার ভ্রমন করা উচিত, ট্যুর প্ল্যান, যাতায়াত, দর্শনীও স্থান ও বাজেট এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

Ture plan in Cox’s Bazar

কক্সবাজার দিনভিত্তিক ট্যুর প্ল্যান

কক্সবাজারে ২ থেকে ৪ দিন সময় নিয়ে ঘুরলে মূল দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা যায়। তবে কক্সবাজার ঘোরার জন্য ৩ দিন সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এতে শহরের মূল বিচগুলো ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, মেরিন ড্রাইভ, মহেশখালী, সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আরাম করে দেখা যায়। ব্যস্ততা ছাড়াই ঘুরতে চাইলে এই ৩ দিনের ট্যুর প্ল্যানটি আপনার জন্য আদর্শ হবে।

দিন ১: শহরের কাছাকাছি বিচ এবং হিমছড়ি ভ্রমণ

রিসোর্টে চেকইন করে কাছের বিচে একটু হাঁটলে ভ্রমণের ক্লান্তি মিলিয়ে যায়। দুপুরে খাওয়ার পর ঝাউবন বা ঝাউতলায় কিছু সময় কাটানো যেতে পারে। বিকেলে হিমছড়ির পাহাড়ি রাস্তা আর ভিউ পয়েন্ট আপনাকে সমুদ্রের অন্য রূপ দেখাবে।

সকাল:

  • কক্সবাজার পৌঁছে রিসোর্টে চেকইন
  • একটু বিশ্রাম নিয়ে কাছের বিচে হালকা হাঁটা
  • তাজা বাতাস, ঢেউয়ের শব্দ আর ঝাউগাছের সৌরভ, ট্রিপ শুরুর সুন্দর মুহূর্ত

দুপুর:

  • সুগন্ধা/কলাতলী এলাকার যেকোনো রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার
  • খাবারের পর ঝাউতলা বা ঝাউবনে একটু সময় কাটাতে পারেন
  • দুপুরের রোদে বিচের পাশের এই সবুজ এলাকা বেশ আরামদায়ক লাগে

বিকেল – হিমছড়ি ট্রিপ:

  • কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়
  • পাহাড়, ঝরনা আর নিচে সমুদ্র, একসঙ্গে দেখা যায়
  • উপরে উঠলে ছবি তোলার জন্য দারুণ জায়গা
  • সূর্যাস্ত দেখলে মনে থাকবে অনেকদিন

রাত:

  • বিচে বারবিকিউ অথবা সি ফুড ডিনার
  • রিসোর্টে ফিরে বিশ্রাম

দিন ২: মেরিন ড্রাইভ এবং ইনানী বিচ

সকালে মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানী দিকে যাত্রা করলে সমুদ্র আর পাহাড়ের মিলনরেখা চোখে পড়বে। ইনানীর স্বচ্ছ পানি, পাথরের মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা আর নিরিবিলি পরিবেশ মন ভরে দেবে। বিকেলে ফিরে ঝাউবনে কিছুক্ষণ বসে বাতাস নেওয়া এবং রাতে বার্মিজ মার্কেটে শপিং করলে দিনের ক্লান্তি কমে যায়।

সকাল – মেরিন ড্রাইভ রোডে যাত্রা:

  • সকালের নরম আলোয় মেরিন ড্রাইভ ধরে যাত্রা অসাধারণ অভিজ্ঞতা
  • এক পাশে নীল সমুদ্র, অন্য পাশে সবুজ পাহাড়
  • মাঝে মাঝে নিরিবিলি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবেন

ইনানী বিচ ভ্রমণ:

  • ইনানীর পানি অন্যান্য বিচের তুলনায় অনেক বেশি স্বচ্ছ
  • ভিড় কম হওয়ায় শান্ত পরিবেশ পাওয়া যায়
  • লাল কাঁকড়া বিচে ঘুরে বেড়ানো অন্য রকম আনন্দ দেয়

দুপুর:

  • ইনানী এলাকার যেকোনো রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ
  • কিছুক্ষণ বিশ্রাম

বিকেল – ঝাউবন:

  • মেরিন ড্রাইভ থেকে ফিরে ঝাউবনে সময় কাটানো
  • বাতাস, গাছের ছায়া, নরম আলো, সব মিলিয়ে আরামদায়ক
  • এখানে প্রাকৃতিক সবুজ আর সমুদ্রের বাতাস একসঙ্গে পাওয়া যায়

রাত:

  • বাজারে শপিং (বার্মিজ মার্কেট)
  • চকলেট, সুভেনির, কসমেটিক্স, সবই পাওয়া যায়
  • রিসোর্টে ফিরে রিল্যাক্স

দিন ৩: মহেশখালী বা সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ

সকালে নৌকায় মহেশখালী বা সোনাদিয়া গেলে দ্বীপের শান্ত পরিবেশ আর লোকাল জীবন কাছ থেকে দেখা যায়। দুপুরে শহরে ফিরে খাবার ও বিশ্রামের পর শেষ বিকেলটা বিচে কাটিয়ে দিতে পারেন। ভ্রমণের শেষে সমুদ্রের পাশের এই সময়টাই সাধারণত সবচেয়ে স্মরণীয় লাগে।

সকাল – দ্বীপ ভ্রমণ:

মহেশখালী দ্বীপ:
  • নৌকায় ১৫–২০ মিনিটে যাওয়া যায়
  • আদিনাথ মন্দির ভ্রমণ
  • লবণক্ষেত, ঘরবাড়ি, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা, সবই একসাথে দেখা যায়
  • বেশ শান্ত এবং প্রকৃতিময় জায়গা
সোনাদিয়া দ্বীপ:
  • নীরব পরিবেশ
  • পাখির অভয়ারণ্য
  • খুব কম ভিড়

দুপুর:

  • শহরে ফিরে লাঞ্চ
  • রিসোর্টে কিছুক্ষণ বিশ্রাম

বিকেল:

  • শেষবারের মতো বিচে হাঁটা
  • হালকা সাঁতার, ছবি, নারকেলের পানি, ভ্রমণের শেষ বিকেলটা উপভোগ

রাত:

  • ডিনার
  • ফেরার প্রস্তুতি

কক্সবাজার ভ্রমণের সেরা সময়

কক্সবাজার ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এই সময় আবহাওয়া থাকে ঠান্ডা স্বস্তিদায়ক, আকাশ পরিষ্কার থাকে, আর সৈকতে হাঁটা বা ঘোরাফেরা, সবকিছুই বেশ আরামদায়ক। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য এই মৌসুমটাই সবচেয়ে নিরাপদ ও উপভোগ্য।

Best ture time in Cox’s Bazar

মার্চ থেকে মে সময়টাও ভালো, কারণ ভিড় কম থাকে এবং রুম ভাড়া তুলনামূলক সাশ্রয়ী পাওয়া যায়। আর জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষাকাল হওয়ায় ঢেউ একটু বেশি থাকে, তবে শান্ত পরিবেশ ও বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য এটি সুবিধাজনক সময়।

কক্সবাজারে কিভাবে যাবেন?

কক্সবাজারে যাওয়ার প্রধান উপায় গুলো হলো বাস, বিমান, ট্রেন এবং ব্যক্তিগত গাড়ি। প্রতিটি মাধ্যমের আলাদা সুবিধা আছে, তাই ভ্রমণকারীরা নিজের বাজেট, সময় এবং আরামের দিক বিবেচনা করে যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারেন।

বাসে কক্সবাজার যাওয়া

ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানির অনেক এসি ও নন এসি বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছাড়ে।

  • শ্যামলী, হানিফ, গ্রিনলাইন, সৌদিয়া, ইউনিক, সোহাগ ইত্যাদি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস
  • বাসগুলো সাধারণত কলাতলী বা হিমছড়ি পয়েন্টে পৌঁছে দেয়
  • যাত্রা সময় প্রায় ১০–১২ ঘণ্টা, রাস্তার অবস্থা অনুযায়ী
  • বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম

বিমানে কক্সবাজার যাওয়া

সময় বাঁচাতে চাইলে বিমানই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

  • ঢাকা থেকে কক্সবাজার ফ্লাইটে সময় লাগে মাত্র ৫০–৬০ মিনিট
  • সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় একাধিক ফ্লাইট থাকে

ব্যক্তিগত গাড়িতে কক্সবাজার যাত্রা

যারা নিজের গাড়িতে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন, তারা ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যেতে পারেন।

  • চট্টগ্রাম শহর পেরিয়ে কক্সবাজারের দিকে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে করতে এগোনো যায়
  • পথে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, এই সব জায়গাতে বিরতি নেওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে

ট্রেনে কক্সবাজার

বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু হয়েছে।

  • ট্রেন যাত্রা আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী
  • যারা ট্রেন যাত্রা পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি একটি বিকল্প রুট

কক্সবাজারে কোথায় থাকবেন?

কক্সবাজারে ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো থাকার সঠিক জায়গা বেছে নেওয়া। সমুদ্রের কাছে থাকতে চান, নাকি একটু শান্ত পরিবেশে? পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন নাকি বন্ধুবান্ধব? বাজেট, সুবিধা, লোকেশন, সবকিছু মিলিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভ্রমণকে আরামদায়ক করে।

লাবণী পয়েন্ট

যারা চান সকালে ঘুম ভাঙুক ঢেউয়ের শব্দে, আর সন্ধ্যায় পাঁচ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলুক সাগরের রঙ বদলের দৃশ্য, লাবণী হলো তাদের জন্য আদর্শ জায়গা।

  • সৈকত একদম হাতের কাছে
  • বাজার, রেস্টুরেন্ট, দোকান, সবই হাতের নাগালে
  • নতুন ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক এলাকা

সুগন্ধা বিচ এলাকা

সুগন্ধা এলাকা নতুন পুরনো সব পর্যটকের কাছে সমান জনপ্রিয়।

  • বিচ, খাবার, কেনাকাটা, সবই কাছাকাছি
  • পরিবার নিয়ে থাকা তুলনামূলক সুবিধাজনক
  • সন্ধ্যায় সৈকতে হাঁটার পরিবেশ খুবই ভালো

কলাতলী জোন

কলাতলী এমন একটি এলাকা যেখানে সব ধরনের থাকার সুযোগ পাওয়া যায়।

  • বাজেট হোটেল থেকে লাক্সারি রিসোর্ট, সবই আছে
  • পরিবার, গ্রুপ, বাচ্চাসহ পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি এখানে
  • রাতে পরিবেশ নিরাপদ ও আরামদায়ক

ইনানী বিচ সাইড

যদি চান ব্যস্ততা থেকে দূরে একটু শান্তিতে থাকতে, তাহলে ইনানী সেরা জায়গা।

  • ভিড় কম, পরিবেশ শান্ত
  • প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য দারুণ জায়গা
  • কাপল, গ্রুপ বা একা ভ্রমণ, সব ক্ষেত্রেই মানানসই

মেরিন ড্রাইভ জোন

মেরিন ড্রাইভে থাকা মানেই একটু বেশি প্রাইভেট, একটু বেশি নিরিবিলি সময় পাওয়া।

  • সমুদ্রের একদম কাছাকাছি
  • সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখার জন্য আদর্শ
  • আধুনিক ও সুরক্ষিত রিসোর্ট অপশন
Cox’s Bazar marine drive view point

কক্সবাজারের দর্শনীও স্থান সমূহ

কক্সবাজারে শুধু সমুদ্রসৈকতই নয়, আছে পাহাড়, ঝরনা, দ্বীপ, জঙ্গলের ছায়া আর অসংখ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ। নিচে সেই সব জায়গার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো যেগুলো ভ্রমণকে আরও গভীর ও স্মরণীয় করে তোলে।

হিমছড়ি - পাহাড়, ঝরনা আর সমুদ্রের একসাথে দেখা

হিমছড়ি ট্রেইলে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রের গর্জন আর পাহাড়ের নীরবতা একসাথে অনুভব করা যায়।

  • উপরে উঠে গেলে সমুদ্রের বিশাল নীল রং চোখে পড়ে
  • নিচে সবুজ বন আর ছোট ছোট ঝরনার ধারা
  • সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখার জন্য এটি অনেকের প্রথম পছন্দ

মেরিন ড্রাইভ – দেশের সবচেয়ে সুন্দর উপকূলীয় রাস্তা

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটারের এই রাস্তা বাংলাদেশের সবচেয়ে মনোরম উপকূলীয় রাস্তা।

  • এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে সমুদ্র
  • গাড়ি বা বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় দৃশ্যগুলো চোখে লেগে থাকে
  • পথে অনেক নিরিবিলি জায়গা আছে যেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন

মহেশখালী দ্বীপ – গ্রাম আর আদিনাথ মন্দির

এখানকার প্রকৃতি বেশ নিভৃত, আর শহরের ভিড় থেকে আলাদা এক অনুভূতি দেয়।

  • আদিনাথ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত
  • সবুজ মাঠ আর স্থানীয় জীবনের শান্ত পরিবেশ
  • নৌকা বা স্পিডবোটে যাওয়া যায়

সোনাদিয়া দ্বীপ – নীরব প্রকৃতি আর পাখির অভয়ারণ্য

সোনাদিয়া হলো কক্সবাজারের সবচেয়ে প্রশান্ত ও প্রাকৃতিক দ্বীপগুলোর একটি।

  • পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত
  • সূর্যাস্ত অসাধারণ
  • ভিড় কম, তাই নীরব প্রকৃতি উপভোগ করা যায়

রামু বৌদ্ধ মন্দির – সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মিশ্রণ

যারা ইতিহাস, ধর্মীয় স্থাপনা বা সংস্কৃতিমূলক ভ্রমণ পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।

  • প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির
  • বড় সোনার বুদ্ধমূর্তি
  • চারপাশের পরিবেশ শান্ত ও ধর্মীয় আবহে ভরা

কক্সবাজার ট্যুরে আনুমানিক বাজেট

কক্সবাজার ভ্রমণের বাজেট মূলত নির্ভর করে আপনি কীভাবে যাতায়াত করবেন, কোথায় থাকবেন, আর কতটা ঘোরাঘুরি করবেন তার ওপর। সাধারণভাবে ৩ দিনের একটি ট্যুরে:

  • যাতায়াত (বাস/ট্রেন/বিমান): ১,২০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা
  • থাকা: প্রতি রাত ২,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা
  • খাবার: প্রতিদিন ৬০০ থেকে ১,৫০০ টাকা
  • ঘোরাঘুরি/লোকাল গাড়ি: ৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা

কক্সবাজার ট্যুরে করণীয় ও বর্জনীয়

কক্সবাজারে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ উপভোগ করতে হলে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। ভ্রমণ নিরাপদ রাখতে কোন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত তা আগেই জানা ভালো। ঠিক পরিকল্পনা ও সচেতনতা পুরো ট্যুরকে ঝামেলা মুক্ত করে দেয়।

কক্সবাজার ট্যুরে করণীয়:

  • লাইফগার্ডের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করুন। ঢেউ কখন বাড়বে কমবে, তারা সবচেয়ে ভালো জানেন।
  • লোকাল গাড়ি, সিএনজি বা টমটম নেওয়ার আগে ভাড়া ঠিক করে নিন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়ানো যায়।
  • শরীর হালকা রাখার জন্য পানির বোতল ও তোয়ালে সঙ্গে রাখুন।
  • খাবার নতুন হলে একটু দেখে শুনে খান। সতেজ সি ফুড বা পরিচিত রেস্টুরেন্ট বেছে নিলে ভ্রমণ আরামদায়ক থাকে।
  • ব্যাগে সানস্ক্রিন, সানগ্লাস ও ছোট ফার্স্টএইড রাখুন।

কক্সবাজার ট্যুরে বর্জনীয়:

  • সাগরের গভীরে কখনো নামবেন না। ঢেউ শান্ত দেখালেও হঠাৎ জোরালো হতে পারে।
  • খারাপ আবহাওয়া, লাল পতাকা বা সতর্ক সংকেতের সময় বিচে নামা এড়িয়ে চলুন।
  • বি‌চের বিক্রেতার সাথে দাম ঠিক না করে কেনাকাটা করবেন না। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
  • পাথুরে বিচে দৌড়ানো বা লাফানো ঠিক নয়। পিছলে গিয়ে ব্যথা লাগার সম্ভাবনা থাকে।
  • বিচে প্লাস্টিক, বোতল বা খাবারের প্যাকেট ফেলে যাবেন না।
  • রাতে নির্জন জায়গায় যাওয়া ঠিক নয়।

আপনার কক্সবাজার ট্যুরকে আরও বিশেষ করুন ডেরা রিসোর্ট - এ

কক্সবাজার ট্যুর প্ল্যান করছেন? আরাম, নিরাপত্তা এবং শান্ত পরিবেশ, সব একসাথে চাইলে ডেরা রিসোর্ট -ই আপনার সেরা থাকার ঠিকানা। প্রশস্ত রুম, সবুজ পরিবেশ, সুইমিং পুল এবং পরিবারবান্ধব সার্ভিস আপনার পুরো ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে।

এখনই বুক করুন এবং আপনার কক্সবাজার ট্যুর প্ল্যানকে দিন একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার ছোঁয়া।

কক্সবাজার ট্যুর সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর

কক্সবাজারে থাকার জন্য কোন এলাকা সবচেয়ে সুবিধাজনক?

সুগন্ধা এবং কলাতলী এলাকা খাবার, বিচ অ্যাক্সেস এবং গাড়ি যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। শান্ত পরিবেশ চাইলে ইনানী বা মেরিন ড্রাইভ ভালো অপশন।

কক্সবাজারে ঘোরার মতো সেরা জায়গাগুলো কী কী?

হিমছড়ি ভিউ পয়েন্ট, মেরিন ড্রাইভ, ইনানী এরিয়া, মহেশখালী দ্বীপ এবং ঝাউতলা, এগুলো যেকোনো ভালো ট্যুর প্ল্যানে অবশ্যই থাকা উচিত।

কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে থাকার জন্য কোন রিসোর্ট ভালো?

কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ এলাকায় পরিবারবান্ধব রিসোর্টের সংখ্যা বেশি। নিরাপদ পরিবেশ, বড় রুম এবং সহজ বিচ অ্যাক্সেস থাকা পরিবারদের জন্য সুবিধাজনক।

কক্সবাজার ট্যুরের গড় খরচ কত হতে পারে?

যাতায়াত, থাকা, খাবার এবং লোকাল ট্রাভেল মিলিয়ে গড়ে একজনের ৮,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মতো বাজেট লাগে, যা পছন্দ অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।

কক্সবাজারে কোন সময় ভ্রমণ করা সবচেয়ে ভালো?

নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসেই কক্সবাজার ভ্রমণ সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং ঢেউও সাধারণত মাঝারি থাকে।
Make Great Use of Your Next Weekend Right Away

Book your favorite room or villa to explore the next best thing.

Arrow