কক্সবাজারের সেরা দর্শনীয় স্থান এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা
কক্সবাজার তার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, সমুদ্রের মিলন আর বৈচিত্র্যময়
প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভ্রমণকারীদের এক বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। এখানে
প্রতিটি স্থানের অনুভূতি আলাদা, কোথাও উত্তাল ঢেউয়ের প্রাণচাঞ্চল্য,
কোথাও পাহাড়ের শান্ত সবুজ, আবার কোথাও দ্বীপের নীরব ও স্বস্তিদায়ক
পরিবেশ।
তাই কক্সবাজারে ঘুরে দেখা মানে শুধু একটি ভ্রমণ নয়, বরং প্রকৃতিকে নানা
রূপে কাছ থেকে অনুভব করার সুযোগ।
কক্সবাজারের সেরা দর্শনীয় স্থান এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা
এই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে জানা দরকার কোন স্থানগুলো আপনার সময়কে সবচেয়ে
বেশি সার্থক করবে এবং কোন অভিজ্ঞতাগুলো ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।
এই ব্লগে আপনি জানতে পারবেন কোন স্থানে কি দেখবেন, কি করবেন, কোথায়
থাকবেন এবং নিরাপদ ভ্রমণ টিপস। আরও আরামদায়ক ও পরিকল্পিত ভ্রমণের জন্য
এখনই ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা–এর সঙ্গে
যোগাযোগ করুন।
বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন
কক্সবাজার কেন ভ্রমণকারীদের প্রথম পছন্দ?
কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ হলো তার দীর্ঘ সমুদ্রতীর, যেখানে ঢেউ, বাতাস ও
বালুরাশি মিলিয়ে এক স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। পাহাড়, দ্বীপ, নদী আর
বিভিন্ন ভ্রমণ–অভিজ্ঞতা এক জায়গায় পাওয়ায় ভ্রমণকারীরা বারবার এখানে
ফিরে আসতে চান।
বিস্তৃত ও মনোরম সমুদ্রসৈকত সবসময়ই ভ্রমণের বড় আকর্ষণ।
একসাথে পাহাড়, সমুদ্র ও সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করা যায়।
পরিবার, দম্পতি ও বন্ধু—সব ধরনের ভ্রমণকারীর জন্য উপযোগী পরিবেশ।
কাছাকাছি ঘোরার জন্য রয়েছে দ্বীপ, ঝরনা, নদী ও বন্যপ্রাণীর অভিজ্ঞতা।
সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নানা ধরনের হোটেল–রিসোর্ট থাকার সুবিধা।
কক্সবাজারের সেরা ২০ দর্শনীয় স্থানসমূহ
কক্সবাজারের সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
এমন এক তালিকা, যেখানে প্রতিটি জায়গা আপনাকে আলাদা একটি সৌন্দর্য
দেখায়। কোথাও সমুদ্রের প্রাণ, কোথাও পাহাড়ের শান্ত রূপ, আবার কোথাও
দ্বীপ বা নদীর নিরিবিলি অনুভূতি। কক্সবাজার ঘুরতে এলে এই স্থানগুলো
দেখলেই বুঝবেন, এক জেলায় এত বৈচিত্র্য আর প্রকৃতির এত রঙ একসঙ্গে কত
সুন্দরভাবে মিলতে পারে।
০১
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ও দীর্ঘতম সৈকত, যেখানে ঢেউ, বাতাস আর
বিস্তৃত বালুরাশি মিলিয়ে এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হয়। এখানে গেলে
সমুদ্রের ধারে হাঁটা, ছবি তোলা আর নরম আলোয় বসে থাকা, সব মিলিয়ে আপনার
ভ্রমণ শুরু থেকেই আনন্দে ভরে যাবে।
বিকেলের আলো বা সূর্যাস্ত দেখে কিছুক্ষণ শান্তভাবে সময় কাটান।
০২
লাবণী বীচ
লাবণী বীচ কক্সবাজারের সবচেয়ে পরিচিত এবং প্রাণবন্ত সৈকত, যেখানে
ঢেউয়ের শব্দ, খোলা বাতাস আর বিস্তৃত বালুরাশি মিলিয়ে প্রথম দেখাতেই
মন ভালো হয়ে যায়। এখানে গেলে হাঁটা, ছবি তোলা আর সমুদ্রের ধারে বসে
কিছুক্ষণ আরাম করা, সব মিলিয়ে ভ্রমণের শুরুতেই এক চমৎকার অভিজ্ঞতা
পাবেন।
কি করবেন:
সমুদ্রতীর ধরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে ঢেউ আর বাতাসের সৌন্দর্য উপভোগ
করুন।
সুগন্ধা বীচ কক্সবাজারের এক প্রাণবন্ত ও জনপ্রিয় অংশ, যেখানে সমুদ্রের
ঢেউ, আলো–হাওয়া আর চারপাশের সরগরম পরিবেশ মিলিয়ে ভ্রমণে এক আনন্দময়
অনুভূতি তৈরী হয়। এখানে গেলে হাঁটা, ছবি তোলা কিংবা সমুদ্রতীরে বসে সময়
কাটানো, সব মিলিয়ে আপনার কক্সবাজার সফর আরও রঙিন হয়ে উঠবে।
০৪
কলাতলী বীচ
কলাতলী বীচ কক্সবাজারের সহজে পৌঁছানো যায় এমন অন্যতম সৈকত, যেখানে
সমুদ্রের ঢেউ, প্রশস্ত বালুরাশি আর তুলনামূলক শান্ত পরিবেশ ভ্রমণের
শুরুতেই মন ভালো করে দেয়। এখানে গেলে ধীরে হাঁটা, ছবি তোলা আর
সমুদ্রতীরে বসে বাতাস উপভোগ করা, এসব মিলিয়ে আপনার সফর আরও আরামদায়ক
হবে।
০৫
মেরিন ড্রাইভ রোড
মেরিন ড্রাইভ রাস্তা কক্সবাজারের সবচেয়ে মনোরম পথ, যেখানে এক পাশে নীল
সমুদ্র আর অন্য পাশে সবুজ পাহাড়, চলতে চলতেই দৃশ্য বদলে যায় এবং
ভ্রমণে এক দারুণ আনন্দ যোগ হয়। এখানে গেলে গাড়ি বা ত্রি-চক্রযানে ধীরে
ধীরে এগোতে এগোতে সমুদ্র দেখা, মাঝপথে থেমে ছবি তোলা আর বাতাসের ছোঁয়া
উপভোগ, সব মিলিয়ে আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে।
কি করবেন:
পথ ধরে এগোতে এগোতে সমুদ্র আর পাহাড়ের মিলিত দৃশ্য উপভোগ করুন।
নির্দিষ্ট পয়েন্টে থেমে ছবি তুলুন বা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখুন।
০৬
পাটুয়ারটেক সৈকত
পাটুয়ারটেক সৈকত কক্সবাজারের সবচেয়ে নিরিবিলি ও শান্ত সমুদ্রতীরগুলোর
একটি, যেখানে ভিড়ের ঝামেলা নেই, কেবল ঢেউ, বাতাস আর বিস্তৃত বালুরাশি
মনকে আরাম দেয়। এখানে গেলে নীরবে হাঁটা, ছবি তোলা আর সমুদ্রের ধারে
একটু বসে প্রকৃতির শান্তি অনুভব করা, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক
স্বস্তিদায়ক মুহূর্ত যোগ হবে।
কি করবেন:
নির্জন তীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে ঢেউয়ের শব্দ আর নীরবতা উপভোগ করুন।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কক্সবাজারের এক আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে নানা
রঙের সামুদ্রিক প্রাণী, সুন্দর অ্যাকুরিয়াম টানেল আর আলোর খেলায়
সাজানো প্রদর্শনী আপনাকে সমুদ্রজগতকে নতুনভাবে চিনতে সাহায্য করে।
এখানে গেলে পরিবার, বাচ্চা কিংবা বন্ধুরা সবাই মিলে এক আনন্দময় ও
শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
কি করবেন:
কাচের টানেলের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রঙিন মাছ আর সামুদ্রিক প্রাণী
কাছ থেকে দেখুন।
বিরল সামুদ্রিক প্রাণীর প্রদর্শনী দেখে নতুন কিছু সম্পর্কে জানুন।
বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে আনন্দ করার সাথে সাথে সমুদ্রজগত সম্পর্কে জ্ঞান
বাড়াতে সাহায্য করুন।
০৮
রামু বৌদ্ধ বিহার
রামু বৌদ্ধ বিহার কক্সবাজারের শান্ত ও ইতিহাসসমৃদ্ধ একটি স্থান, যেখানে
বড় বৌদ্ধমূর্তি, পুরনো স্থাপনা আর নীরব পরিবেশ মিলিয়ে মন যেন স্বস্তি
খুঁজে পায়। এখানে গেলে ধীরে ধীরে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখা, স্থাপত্যের
সৌন্দর্য উপভোগ করা আর স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা, সব মিলিয়ে
ভ্রমণে এক ভিন্ন অনুভূতি যোগ হবে।
কি করবেন:
বিস্তৃত ও মনোরম সমুদ্রসৈকত সবসময়ই ভ্রমণের বড় আকর্ষণ।
একসাথে পাহাড়, সমুদ্র ও সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করা যায়।
পরিবার, দম্পতি ও বন্ধু, সব ধরনের ভ্রমণকারীর জন্য উপযোগী পরিবেশ।
কাছাকাছি ঘোরার জন্য রয়েছে দ্বীপ, ঝরনা, নদী ও বন্যপ্রাণীর অভিজ্ঞতা।
সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নানা ধরনের হোটেল–রিসোর্ট থাকার সুবিধা।
০৯
হিমছড়ি ভিউ পয়েন্ট ও ঝর্ণা
হিমছড়ি ভিউ পয়েন্ট ও ঝরনা এমন এক জায়গা যেখানে পাহাড়ের সবুজ, সমুদ্রের
নীল আর খোলা আকাশ একসাথে চোখের সামনে ধরা দেয়। এখানে গেলে ঝরনার পাশ
দিয়ে হাঁটা, উপরে উঠে উপকূলরেখা দেখা আর প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে
কিছুক্ষণ থাকা, সব মিলিয়ে ভ্রমণে এক নতুন সতেজতা পাবেন।
কি করবেন:
পাহাড়ি পথ ধরে ধীরে উঠে সমুদ্র আর উপকূলের বিস্তৃত দৃশ্য উপভোগ করুন।
ঝরনার স্রোতের ধারে দাঁড়িয়ে ছবি তুলুন এবং ঠাণ্ডা পরিবেশ অনুভব করুন।
দরিয়ানগর সৈকত কক্সবাজারের শান্ত ও মনোরম একটি সমুদ্রতীর, যেখানে
পাহাড়ের ছায়া আর নরম ঢেউ মিলিয়ে এক স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। এখানে
গেলে ভিড়ের বাইরে নিরিবিলি হাঁটা, ছবি তোলা আর সমুদ্রের ধারে একটু থেমে
বিশ্রাম নেওয়া, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক মোলায়েম শান্তি যোগ হবে।
কি করবেন:
সৈকতের নিরিবিলি অংশে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড় আর সমুদ্রের মিলিত দৃশ্য
উপভোগ করুন।
সুন্দর আলোয় ছবি তুলুন, বিশেষ করে সকাল বা বিকেলের সময়।
ঢেউয়ের শব্দ শুনে সমুদ্রের ধারে বসে কিছুক্ষণ আরামে সময় কাটান।
১১
ইনানী বিচ
ইনানী সৈকত কক্সবাজারের সবচেয়ে শান্ত ও পাথুরে সমুদ্রতীর, যেখানে নীল
পানি আর প্রবালের মতো পাথর মিলিয়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্য চোখে পড়ে।
এখানে গেলে ভিড় থেকে দূরে হাঁটা, ঢেউয়ের শব্দ শোনা আর প্রকৃতির শান্ত
পরিবেশে একটু স্বস্তি নেওয়া, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক কোমল ও
প্রশান্ত অনুভূতি আসবে।
কি করবেন:
পাথুরে তীর বরাবর ধীরে হাঁটতে হাঁটতে নীল সমুদ্রের রং আর প্রকৃতির
নীরবতা উপভোগ করুন।
বালুর ওপর বা পাথরের পাশে দাঁড়িয়ে সুন্দর ছবি তুলুন, বিশেষ করে সকাল
বা বিকেলের আলোয়।
সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যেখানে নীল–সবুজ পানি,
কোমল বাতাস আর শান্ত সমুদ্রতীর মিলিয়ে এক স্বপ্নময় পরিবেশ তৈরি হয়।
এখানে গেলে তীরের ধারে হাঁটা, পরিষ্কার সমুদ্রে গোসল করা আর প্রকৃতির
নীরবতা উপভোগ করা, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক অন্যরকম আনন্দ যোগ হবে।
ছেড়া দ্বীপে গেলে আরও নিরিবিলি পরিবেশ ও অপরূপ প্রবালভূমির সৌন্দর্য
কাছ থেকে অনুভব করতে পারবেন।
কি করবেন:
নীল পানির ধারে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করুন,
চাইলে ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখুন।
স্বচ্ছ পানিতে একটু গোসল করে শরীর–মন দুটোই সতেজ করে নিন, বিশেষ করে
সকালবেলার সময়টা দারুণ।
দ্বীপের শান্ত কোণে বসে ঢেউয়ের শব্দ শুনে কিছুক্ষণ নিরিবিলি সময়
কাটান, এতে পুরো যাত্রায় এক প্রশান্ত অনুভূতি আসবে।
১৩
মারমেইড ও কোরাল বীচ
মারমেইড ও কোরাল বীচ কক্সবাজারের শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে ভরা সমুদ্রতীর, যেখানে নরম বাতাস, নীল পানি আর নিরিবিলি
পরিবেশ মিলিয়ে মন নিজেই হালকা হয়ে যায়। এখানে গেলে ভিড় ছাড়া হাঁটা,
ছবি তোলা আর সমুদ্রতীরে বসে কিছুক্ষণ আরাম করা, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে
এক কোমল ও সতেজ অনুভূতি যোগ হবে।
কি করবেন:
নিরিবিলি তীরে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রের শান্ত পরিবেশ ও নীল রং উপভোগ
করুন।
পরিষ্কার সৈকতে সুন্দর ছবি তুলুন, বিশেষ করে বিকেলের আলোয়।
লাল কাঁকড়া বীচ কক্সবাজারের এক অনন্য সমুদ্রতীর, যেখানে অসংখ্য লাল
কাঁকড়া দৌড়াতে দেখা যায় এবং প্রকৃতির এই রঙিন দৃশ্য ভ্রমণে এক বিশেষ
আনন্দ যোগ করে। এখানে গেলে নিরিবিলি পরিবেশে হাঁটা, কাঁকড়ার দল দেখা আর
সমুদ্রের ধারে সময় কাটানো, সব মিলিয়ে এক ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা পাবেন।
কি করবেন:
সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে লাল কাঁকড়ার দলকে কাছ থেকে দেখুন।
বালুর ওপরে বা সমুদ্রতীরে সুন্দর কিছু ছবি তুলুন।
শান্ত পরিবেশে বসে সমুদ্রের ঢেউ ও বাতাস উপভোগ করুন।
১৫
রিজু খাল
রিজু খাল এলাকা মেরিন ড্রাইভের এক মনোরম জায়গা, যেখানে সাগরের নীল পানি
আর খালের স্বচ্ছ জল মিলিয়ে দারুণ একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি হয়। এখানে
গেলে নৌকায় ভ্রমণ, পানির ধারে নিরিবিলি সময় কাটানো আর আশপাশের সবুজ
প্রকৃতি দেখা, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক শান্ত ও ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা
যোগ করবে।
কি করবেন:
খালের স্বচ্ছ জলের ওপর নৌকায় চড়ে চারপাশের প্রকৃতি উপভোগ করুন।
পানির ধারে বসে ঢেউ আর হাওয়ার ছোঁয়া অনুভব করুন।
ছবি তুলে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখুন, বিশেষ করে শান্ত বিকেলের
আলোয়।
১৬
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক কক্সবাজারের একটি আকর্ষণীয় বনভূমি ও
বন্যপ্রাণী কেন্দ্র, যেখানে হরিণ, হাতি, জিরাফ, সিংহসহ নানা প্রাণীকে
বিস্তৃত সবুজ পরিবেশে কাছ থেকে দেখার সুযোগ মেলে। এখানে গেলে পরিবার
কিংবা বাচ্চাদের সঙ্গে প্রকৃতি দেখা, প্রাণীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা আর
খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটা, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণে এক আনন্দদায়ক ও
শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা যোগ করবে।
কি করবেন:
সাফারি এলাকায় গাড়ি বা পায়ে হেঁটে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী কাছ থেকে
দেখুন।
প্রাণীদের নিয়ে ছবি তুলুন এবং শিশুদের সঙ্গে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণ
উপভোগ করুন।
১৭
মহেশখালী দ্বীপ
মহেশখালী দ্বীপ, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ, কক্সবাজারের এক
অনন্য স্থান যেখানে সমুদ্র, পাহাড় আর গ্রামীণ পরিবেশ একসাথে মিলিয়ে এক
শান্ত ও স্বাভাবিক সৌন্দর্য তৈরি করেছে। এখানে গেলে নৌকার যাত্রা,
দ্বীপের নিরিবিলি প্রকৃতি আর আদীনাথ মন্দির দেখা, সব মিলিয়ে আপনার
ভ্রমণে এক ভিন্ন ও স্মরণীয় অনুভূতি যোগ হবে।
কি করবেন:
ঘাট থেকে নৌকায় দ্বীপে পৌঁছে সমুদ্র–পাহাড়ের শান্ত পরিবেশ উপভোগ
করুন।
আদীনাথ মন্দিরে উঠে চারপাশের সুন্দর দৃশ্য দেখুন ও ছবি তুলুন।
দ্বীপের গ্রামীণ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্থানীয় মানুষের জীবনধারা কাছ
থেকে দেখুন।
১৮
সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজারের সবচেয়ে নীরব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা
স্থান, যেখানে সমুদ্র, ম্যানগ্রোভ আর পাখিদের কলতান মিলিয়ে এক শান্ত ও
স্বপ্নময় পরিবেশ তৈরি হয়। এখানে গেলে নিরিবিলি সৈকতে হাঁটা, নৌকায় ঘুরে
প্রকৃতি দেখা এবং ভিড় থেকে দূরে কিছু শান্ত সময় কাটানো, সব মিলিয়ে
আপনার ভ্রমণে এক গভীর প্রশান্তি আসবে।
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজারের এক শান্ত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা
দ্বীপ, যেখানে বাতিঘর, বিস্তৃত সমুদ্রতীর আর গ্রামের সরল পরিবেশ
মিলিয়ে এক ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এখানে গেলে নিরিবিলি সমুদ্র
দেখা, স্থানীয় জীবনযাপন কাছ থেকে অনুভব করা এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য
উপভোগ, সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমণ আরও স্মরণীয় হবে।
কি করবেন:
দ্বীপের বাতিঘর এলাকা ঘুরে দেখে সমুদ্রের শান্ত দৃশ্য উপভোগ করুন।
স্থানীয় মানুষের জীবনধারা ও দ্বীপের সরল পরিবেশ কাছ থেকে অনুভব করুন।
২০
রামু রাবার বাগান
রামু রাবার বাগান কক্সবাজারের একটি শান্ত ও সবুজে ঘেরা এলাকা, যেখানে
সারি সারি রাবার গাছের টানেল–মতো পথ আপনাকে মুহূর্তেই প্রকৃতির ভেতরে
নিয়ে যায়। এখানে গেলে নিরিবিলি হাঁটা, ছবি তোলা আর গ্রামের মতো শান্ত
পরিবেশ উপভোগ, সব মিলিয়ে ভ্রমণে এক স্বস্তিদায়ক অনুভূতি পাবেন।
কি করবেন:
রাবার গাছের সারির নিচে হাঁটতে হাঁটতে সবুজের নিস্তব্ধতা উপভোগ করুন।
আলো–ছায়ার খেলায় সুন্দর কিছু ছবি তুলুন।
গ্রামীণ পরিবেশের শান্তি অনুভব করে কয়েক মিনিট নিরিবিলিতে বসে থাকুন।
কক্সবাজারে কোথায় থাকবেন?
কক্সবাজারে ভ্রমণকারীদের জন্য নানা ধরনের
হোটেল, রিসোর্ট এবং সমুদ্রতীরের আবাসন সহজেই পাওয়া যায়। যদি আপনি সমুদ্রের
কাছাকাছি শান্ত, আরামদায়ক আর একটু ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা চান, তাহলে
ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
আপনার থাকার জন্য দারুণ একটি জায়গা। এখানে সমুদ্রের হাওয়া, সবুজ
পরিবেশ আর আধুনিক সুবিধা মিলিয়ে এমন এক স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়,
যা ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
কেন ভ্রমণকারীরা ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা–কেই বেছে নেন:
সমুদ্রের খুব কাছে, শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে থাকা যায়।
প্রশস্ত ও আরামদায়ক রুম, পরিবারের জন্য উপযুক্ত।
নিজস্ব রেস্টুরেন্টে সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা।
সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে রিলাক্স করার সুযোগ।
পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা এবং সেবার মান ভালো।
ভ্রমণের সব জনপ্রিয় স্থান থেকে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
নিরাপদ কক্সবাজার ভ্রমণ ও জরুরি টিপস
কক্সবাজার ভ্রমণে আনন্দের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা মানলে সফর আরও
নিঃশ্চিন্ত ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিশেষ করে সমুদ্রের ধারে চলাফেরা,
পরিবহন নির্বাচন ও আবহাওয়া, এই বিষয়গুলোতে সচেতন থাকলে পুরো যাত্রাই
হবে নিরাপদ ও আরামদায়ক।
জরুরি টিপস:
সমুদ্রের ধারে নেমে সতর্ক থাকুন: ঢেউ জোরালো হলে পানিতে না
নামুন, লাইফগার্ডের নির্দেশ মানা অত্যন্ত জরুরি।
ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিস নিরাপদে রাখুন: ভিড়ের জায়গায় ফোন,
ক্যামেরা ও মানিব্যাগ সাবধানে বহন করুন।
আবহাওয়ার খবর দেখে পরিকল্পনা করুন: সমুদ্র উত্তাল থাকলে
নৌকাভ্রমণ বা পানিতে নামা এড়িয়ে চলুন।
হোটেলের ঠিকানা ও জরুরি নম্বর রাখুন: যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত
যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে।
রাতে নির্জন সৈকত এড়িয়ে চলুন: নিরাপত্তার জন্য ভিড় ও আলোযুক্ত
স্থানে অবস্থান করা ভালো।
কক্সবাজারের সেরা দর্শনীয় স্থান ঘুরতে চান?
চমৎকার ভ্রমণের পাশাপাশি যদি নিশ্চিন্ত ও আরামদায়ক থাকার জায়গা চান,
তাহলে
ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
আপনাকে দেবে শান্ত পরিবেশ, প্রশস্ত রুম আর মন ভালো করা আতিথেয়তা। এখনই
যোগাযোগ করুন, আপনার কক্সবাজার
ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক ও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা প্রস্তুত।
কক্সবাজারে প্রথমবার গেলে কোন কোন জায়গা অবশ্যই দেখা উচিত?
প্রথমবার এলে লাবণী–সুগন্ধা–কলাতলী বীচ, মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি,
দরিয়ানগর, ইনানী এবং রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড ঘুরে দেখতে পারেন।
সময় থাকলে সেন্ট মার্টিন বা মহেশখালীও তালিকায় রাখলে অভিজ্ঞতা আরও
সমৃদ্ধ হবে।
কক্সবাজার ঘুরতে কতদিন সময় নিলে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখা
সম্ভব?
২ দিন হলে নিকটবর্তী সৈকতগুলো দেখা যায়। ৩ দিনে মেরিন ড্রাইভ,
ইনানী, হিমছড়ি ও রামু পর্যন্ত আরামে ঘোরা যায়। আর সেন্ট মার্টিন বা
সোনাদিয়া যুক্ত করতে চাইলে ৪ দিনের ভ্রমণই সবচেয়ে উপযুক্ত।
মেরিন ড্রাইভে ঘুরার সেরা সময় কোনটি?
বিকেলবেলা সবচেয়ে সুন্দর লাগে। নরম আলো, ঠাণ্ডা বাতাস আর
সমুদ্র,পাহাড়ের দৃশ্য একসাথে উপভোগ করা যায়। তবে সকালেও কম ভিড়ে
শান্ত পরিবেশ পাওয়া যায়।
শান্ত ও কম ভিড়ের সৈকত কোথায় পাওয়া যাবে?
পাটুয়ারটেক, মারমেইড–কোরাল বীচ এবং ইনানী তুলনামূলক শান্ত ও
নিরিবিলি। যারা ভিড় এড়িয়ে সমুদ্রের ধারে স্বস্তিতে সময় কাটাতে চান,
তাদের জন্য এগুলো আদর্শ।
পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে কক্সবাজারে কোন জায়গা সবচেয়ে ভালো?
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, ইনানী, রামু বৌদ্ধ বিহার এবং মূল মেরিন
ড্রাইভ এলাকা পরিবার–বান্ধব। নিরাপদ পরিবেশ আর সহজ চলাচলের কারণে
পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেশ সুবিধা হয়।
কক্সবাজারে ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী মনে রাখতে হবে?
ঢেউ বেশি থাকলে পানিতে নামবেন না, ভিড়ের জায়গায় মূল্যবান জিনিস
সতর্কভাবে রাখুন, আবহাওয়ার আপডেট দেখুন এবং রাতে নির্জন সৈকত এড়িয়ে
চলুন।
Reserve DERA Resort today
Book Manikgonj or Cox’s Bazar resort rooms in minutes. Don’t wait-reserve now before your perfect getaway is gone.